লক্ষনের প্রকারভেদ
উপযুক্ত ঔষধ নির্বাচন ও প্রয়োগের মাধ্যমে রোগাক্রান্ত মানুষকে সবচেয়ে কম
সময়ের মধ্যে রোগমুক্ত করে তাকে তার পূর্বস্বাস্থ্যে ফিরিয়ে দেওয়াই
আরোগ্য সাধনের উচ্চতম আদর্শ। এরজন্য আমাদের সর্বপ্রথম ও প্রধান কাজ হলো
রোগীতে প্রকাশিত লক্ষনরাজির মাধ্যমে রোগের স্বরূপ উপলব্ধি করা।
লক্ষনের ধরন, অবস্থান ও গুরুত্ব বিবেচনায় লক্ষন বিভিন্ন প্রকার হয়ে থাকে। যেমন -
১! সাধারণ লক্ষণ (Common symptom ) : এগুলো রোগের অবস্থার সাধারণ পরিচয় দেয়। যেমন- ক্ষুধাহীনতা, দুর্বলতা, অনিদ্রা ইত্যাদি। ঔষধ নির্বাচনে এগুলোর বিশেষ গুরুত্ব নেই।
আরও পড়ুন : রোগীর লক্ষণ অনুসারে চিকিৎসা
২! বৈশিষ্ট্যজ্ঞাপক লক্ষন (Characteristic symptom ) : যা সাধারণ নয়,
স্বাভাবিক নয়, যা অদ্ভুত ধরনের, যা বিরল, যা সাধারণত প্রত্যাশা করা হয়
না, যা আমাদের দৃষ্টিকে বিশেষভাবে আকৃষ্ট করে। যেমন-
i) শরীরের তাপমাত্রা খুব বেশি অথচ আবরন চায়, পানির পিপাসার সম্পূর্ণ অভাব।
ii) রোগীর অবস্থা খুব খারাপ, অথচ সে বলে ভালো আছে, তার কোন সমস্যা নেই।
ঔষধ নির্বাচনে এই ধরনের লক্ষনের গুরুত্ব বেশি। এগুলো যত বেশি সংগ্রহ করা যায়, ঔষধ নির্বাচনে তত বেশি সুবিধা হয়।
৩! স্থানিক লক্ষন (Particular symptom ) : যে লক্ষন রোগীর কোন একটি
অঙ্গে দেখা দেয় এবং সেখানেই সীমাবদ্ধ । যেমন - কপালের দুপাশ দপদপ করে, চোখ
মুখ ঠোঁট লাল, জিহ্বায় লাল ত্রিকোন চিহ্ন ইত্যাদি।
৪! ব্যাপক লক্ষন (General symptom ) : ব্যাপক লক্ষন বলতে সেগুলোকে
বোঝায় যেগুলো রোগীতে সমগ্রভাবে প্রযোজ্য। যেমন - জীবনের প্রতি বিতৃষ্ণা,
ঠান্ডা লাগার প্রবনতা ইত্যাদি
types of symptoms
গুরুত্ব বিবেচনায় ব্যাপক লক্ষন আবার ৩ প্রকার। যথা-
১! মানসিক লক্ষন : ইচ্ছা, বোধশক্তি, স্মৃতিশক্তি
২! সার্বদৈহিক লক্ষন : আবহাওয়া, উত্তাপ, শৈত্য, পরিবেশ ও পরিস্থিতি অনুযায়ী সার্বদৈহিক প্রতিক্রিয়া
৩! দৈহিক লক্ষন : খাদ্য ও পানীয়ে ইচ্ছা বা অনিচ্ছা, কামেচ্ছা
ঔষধ নির্বাচনে মানসিক লক্ষনের গুরুত্ব সবচেয়ে বেশি। এরপর যথাক্রমে সার্বদৈহিক ও দৈহিক লক্ষনের গুরুত্ব।
0 Comments
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন