হার্ট অ্যাটাক কিভাবে হয় ?
করোনারি ধমনী আমাদের হৃদপিন্ডের দেয়ালে রক্ত সরবরাহ করে। কোন মানুষ অসুস্থ হলে তার এই ধমনীর ভিতর আস্তে আস্তে চর্বি জমতে থাকে। একদিনে হুট করে চর্বি জমে ব্লক হয়ে যায় না। বরং ধীরে ধীরে একটু একটু করে চর্বি জমে জমে ব্লক বাড়তে থাকে।
Pathology of heart attack
করোনারি ধমনীর কোন স্থানে ৭০ % পর্যন্ত ব্লক হলেও টের পাওয়া যায় না। কারণ বাকি ৩০ % এর ভিতর দিয়ে যে রক্ত চলে তাতে কাজ সেরে যায়। কিন্তু ব্লক যদি ৮০ % হয় তাহলে দৌড়ানোর সময় বা অধিক পরিশ্রমের সময় হৃৎপিণ্ডের দেয়ালে যে অধিক পরিমাণ রক্তের প্রয়োজন হয়, তা ব্লক এর ভিতর দিয়ে চলতে পারে না, তখন বুকে ব্যথা করে । কারণ, প্রয়োজনীয় অক্সিজেন যুক্ত রক্তের অভাবে হৃদপিন্ডের ঐ অংশের টিস্যুর কাজে ব্যাঘাত ঘটে। বুকের এই ব্যথাকে অ্যানজাইনা বলে।
Heart attack treatment
আরও পড়ুন : লাইফস্টাইল রোগের সেরা চিকিৎসা
এরপর ব্লক যখন ৯০ % এ পৌঁছে তখন সামান্য পরিশ্রমে এমনকি হাঁটলেও বুকে ব্যথা করে। সিঁড়ি দিয়ে উপরে উঠার সময়ও ব্যথা করে।
এরপর ব্লক যখন 100% পৌঁছে, তখন রক্ত চলাচল সম্পূর্ণরূপে বন্ধ হয়ে যায়। ফলে ঐ অংশে অক্সিজেন যুক্ত রক্তের অভাবে হৃৎপিণ্ডের টিশ্যু মারা যায়। এর ফলে যে জটিলতার সৃষ্টি হয় তাকেই বলা হয় হার্ট অ্যাটাক।
আমরা লক্ষ্য করলাম হার্ট অ্যাটাক হওয়ার মত পরিস্থিতি একদিনে সৃষ্টি হয়নি বরং ধীরে ধীরে সৃষ্টি হয়েছে। তাই বলা হয়, হার্ট অ্যাটাক করে কেউ অসুস্থ হয়নি বরং হার্ট অ্যাটাকের বহু পূর্ব থেকেই সে অসুস্থ।
আরও পড়ুন : রোগী পর্যবেক্ষনের গুরুত্ব
এইজন্য হার্ট অ্যাটাকের পূর্বেই লক্ষণ অনুযায়ী হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা গ্রহণের সুযোগ থাকে। তখন যোগ্য অভিজ্ঞ হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসকের পরামর্শে ওষুধ সেবন করলে আস্তে আস্তে ব্লক দূর হয়ে যায় এবং চর্বি জমা বন্ধ হয়ে রোগী স্থায়ীভাবে আরোগ্য লাভ করে।
0 Comments
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন