আরোগ্যের প্রাকৃতিক নীতি
রোগ আরোগ্যের প্রাকৃতিক নীতি হলো - যে ভেষজ সুস্থ শরীরে যে রোগ সৃষ্টি করতে পারে, সেই ভেষজই অসুস্থ শরীরের সেই ধরনের রোগ আরোগ্য করতে পারে। ভেষজের স্বাস্থ্যের বিকৃতি ঘটাবার ক্ষমতা না থাকলে তা কখনো রোগারোগ্য করতে পারতো না। বস্তুতপক্ষে, সুস্থ দেহে ভেষজের রোগ উৎপাদিকা শক্তিই রোগাবস্থায় আরোগ্যদায়িনী শক্তি রূপে কাজ করে।
রোগ থেকে মুক্তির মন্ত্র
সিঙ্কোনা (China) হলো হোমিওপ্যাথির প্রথম ওষুধ। মহাত্মা হ্যানিম্যান সর্বপ্রথম লক্ষ্য করেছিলেন সিঙ্কোনা স্থূল মাত্রায় খেলে সুস্থ শরীরে কাঁপুনি দিয়ে জ্বর আসে আবার সেই জ্বরে আক্রান্ত অবস্থায় সূক্ষ্মমাত্রায় সিঙ্কোনা খেলে জ্বর ভালো হয়ে যায়। হ্যানিম্যান নিজের শরীরেই তা পরীক্ষা করেছিলেন। তিনি বুঝতে পারলেন - এটাই আরোগ্যের প্রাকৃতিক নীতি। এখান থেকেই তিনি হোমিওপ্যাথি আবিষ্কার করেন।
আসুন আমরা জানি মহান হ্যানিম্যান সম্পর্কে
এরপর তিনি একে একে শতাধিক ওষুধ পরীক্ষা করেন। প্রতিটি ওষুধেই আরোগ্যের এই প্রাকৃতিক নীতি প্রমাণিত হয়। Aconite স্থূল মাত্রায় প্রয়োগ করলে দেখা যায় প্রদাহযুক্ত জ্বরের সূচনা হয়, সঙ্গে থাকে পিপাসা, অস্থিরতা আর মৃত্যুভীতি। আবার এরূপ অবস্থায় Aconite সূক্ষ্মমাত্রায় প্রয়োগ করা হলে সমস্ত উপসর্গ বিলীন হয়ে যায়। Belladona খেলে সুস্থ শরীরে চোখ মুখ লাল হয়ে প্রচন্ড জ্বর আসে। আবার এমন জ্বরের রোগী Belladona খেলে জ্বর ভালো হয়ে যায়।
Natural law of cure
হোমিওপ্যাথি রোগ আরোগ্যের প্রাকৃতিক নীতি অনুসরণ করে। কোন ওষুধ তখনই হোমিওপ্যাথিক হয় যখন তা হোমিওপ্যাথির নিয়ম অনুসারে প্রদত্ত হয়, অর্থাৎ যখন তা রোগলক্ষণের সাদৃশ্য অনুযায়ী নির্বাচিত হয় এবং এককভাবে ও ক্ষুদ্রতম মাত্রায় প্রয়োগ করা হয়।
সূক্ষ্মমাত্রার শক্তিকৃত হোমিওপ্যাথিক ওষুধ রোগকে চাপা দেয় না বরং নির্মূল করে ; সাময়িকভাবে উপশম করে না বরং স্থায়ীভাবে আরোগ্য করে।
আরও পড়ুন : বিস্ময়কর হোমিওপ্যাথি
বিস্তারিত এই ভিডিওতে :
0 Comments
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন