হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা
হোমিওপ্যাথি কী ?
হোমিওপ্যাথি হলো সদৃশ নীতির উপর প্রতিষ্ঠিত এক পূর্ণাঙ্গ চিকিৎসা পদ্ধতি।
হোমিওপ্যাথি হলো একটি কার্যকরী চিকিৎসা পদ্ধতি। এতে রোগীর চিকিৎসায় শক্তিকৃত এমন ঔষধ সূক্ষ্ণ মাত্রায় প্রয়োগ করা হয় যা স্থুলমাত্রায় প্রয়োগে সুস্থ শরীরে সেই রোগ সৃষ্টি করতে পারে।
হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা
হোমিওপ্যাথি এর মানে কি
হোমিওপ্যাথি এর মানে হলো সদৃশ অনুভূতি, কষ্ট বা রোগ
# হোমিওপ্যাথির জনক কে ? # হোমিওপ্যাথির আবিষ্কারক কে
হোমিওপ্যাথির জনক - জার্মান চিকিৎসক ক্রিস্টিয়ান ফ্রেডরিক স্যামুয়েল হ্যানিম্যান।
# হ্যানিম্যান কত সালে হোমিওপ্যাথি আবিষ্কার করেন ?
হ্যানিম্যান ১৭৯৬ সালে হোমিওপ্যাথি আবিষ্কার করেন।
# কোন শব্দ থেকে Homeopathy শব্দের উৎপত্তি ?
Homeopathy শব্দের উৎপত্তি দুটি গ্রীক শব্দ homois এবং patheia থেকে ।
Homois অর্থ like বা সদৃশ
Patheia অর্থ suffering বা কষ্ট
# হোমিওপ্যাথির মূলনীতি কি ?
হোমিওপ্যাথির মূলনীতি হলো - Like cures like অর্থাৎ সদৃশ সদৃশকে আরোগ্য করে। কোন ঔষধ সুস্থ মানুষের দেহ ও মনে যে রোগ লক্ষণ সৃষ্টি করে, সেই ঔষধ অসুস্থ মানুষের দেহ ও মনের সেই লক্ষন আরোগ্য করে।
# হোমিওপ্যাথির নিয়মনীতি
হোমিওপ্যাথি চিকিৎসায় প্রধানত: চারটি নীতি অনুসরণ করা হয় -
১/ সদৃশ বিধান
২/ সূক্ষ্ম মাত্রা
৩/ শক্তিকৃত ঔষধ
৪/ একবারে একটিমাত্র ঔষধ
# হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা পদ্ধতি
হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা পদ্ধতিতে একজন চিকিৎসক রোগীর মানসিক, সার্বদৈহিক ও আঙ্গিক লক্ষন সংগ্রহ করেন। এরপর তিনি লক্ষন সমষ্টি নির্বাচন করে রোগীর জন্য সবচেয়ে সদৃশ একটিমাত্র ঔষধ নির্বাচন করেন। শক্তিকৃত সেই ঔষধ রোগী সূক্ষ্মমাত্রায় সেবন করে স্থায়ীভাবে আরোগ্য লাভ করেন।
# হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা
# হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা কি জায়েজ ?
জি, হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা জায়েজ। হোমিওপ্যাথি ঔষধ তৈরিতে এলকোহল ব্যবহার করা হয় । তাই এই প্রশ্ন তৈরি হয়।
আমাদের জানা দরকার, শক্তিকরন প্রক্রিয়ায় হোমিওপ্যাথি ঔষধ প্রস্তুত করার কারনে সকল উপাদানই ঔষধে পরিনত হয়। হোমিওপ্যাথি ঔষধ সেবনে কখনো রোগীর নেশা সৃষ্টি হয় না।
আরও পড়ুন : হোমিও কোর্স সমূহ Benefits of Homeopathy
# হোমিওপ্যাথির সুবিধা
হোমিওপ্যাথি চিকিৎসায় অনেক সুবিধা রয়েছে। যেমন-
১/ কোন পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই
২/ কোন ধরনের কষ্ট হয় না
৩/ খরচ কম
৪/ রোগী স্থায়ীভাবে আরোগ্য লাভ করে
Homeopathy side effects
# হোমিওপ্যাথি ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া
# হোমিওপ্যাথির পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া
হোমিওপ্যাথিক ঔষধগুলো সুস্থ মানবদেহে পরীক্ষিত। তাই যথাযথ পদ্ধতি অনুসরণ করে সদৃশ ঔষধ নির্বাচন করে সূক্ষ্মমাত্রায় রোগীর দেহে প্রয়োগ করা হলে এই ঔষধে কোন পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয় না।
Homeopathy treatment
হোমিও চিকিৎসা শেখার সহজ উপায়
হোমিও চিকিৎসা শেখার সহজ উপায় হলো- প্রথমে কোন একটি হোমিওপ্যাথি কলেজে DHMS বা BHMS কোর্স সম্পন্ন করা । এরপর কোন একজন যোগ্য বিজ্ঞ দক্ষ হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসকের অধীনে থেকে হাতে-কলমে শিক্ষা লাভ করা।হোমিও কলেজে ভর্তির যোগ্যতা
1. BHMS কোর্সে ভর্তির যোগ্যতা
এসএসসি+এইচএসসি জীববিজ্ঞান সহ বিজ্ঞান বিভাগ থেকে নূন্যতম জিপিএ ৮ এবং আলাদাভাবে ৩.৫ ও এসএসসি এইচএসসি এর মধ্যে সর্বোচ্চ ১ বছরের স্টাডি গ্যাপ।শর্ত পূরন হলে ভর্তি ফর্ম উঠাতে পারবে।
এরপর ভর্তি পরীক্ষার মাধ্যমে মেধা অনুসারে ৫০ জন সরকারি মেডিকেল এবং ৫০ জন বেসরকারি বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথিক মেডিকেল কলেজে ভর্তির সুযোগ পাবে।
2. DHMS কোর্সে ভর্তির যোগ্যতা
DHMS কোর্সে ভর্তির জন্য শর্ত হলো যেকোন বোর্ড থেকে যেকোন বিভাগে SSC বা সমমানের পরীক্ষায় পাশ করতে হবে।
দেশের সকল বেসরকারি হোমিওপ্যাথিক মেডিকেল কলেজে এই কোর্স চালু আছে।
0 Comments
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন