ঔষধ নির্বাচনের কৌশল
হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসায় নানারকম জটিল রোগে আক্রান্ত রোগীর চিকিৎসা হয়। সকল দক্ষ ও অভিজ্ঞ চিকিৎসকের কাছেই এমন সব রোগীর চিকিৎসার রেকর্ড আছে, যাদের আর চিকিৎসা নাই বলে হাসপাতাল থেকে বাড়িতে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছিল।
যেকোন রোগীতে যেকোন ঔষধের সমস্ত লক্ষনই প্রকাশিত হবে এমন কোন কথা নেই । যেমন, ব্রায়োনিয়া ঔষধের দুই হাজারের অধিক লক্ষন আছে। কোন রোগীতে এই সমস্ত লক্ষন কখনো একসঙ্গে প্রকাশিত হয় না।
আরও পড়ুন : হরমোনের ভারসাম্য রক্ষায় হোমিওপ্যাথি
মেটেরিয়া মেডিকায় কোন ঔষধের লক্ষনসমূহ যেভাবে লিপিবদ্ধ আছে, কোন রোগী চিকিৎসকের কাছে তার রোগের লক্ষণগুলো সেভাবে সাজিয়ে গুছিয়ে বলে না। সে তার কষ্টের কথা তার মতো করেই বলতে থাকে।
কিন্তু তার দেহমনে প্রকাশিত সব লক্ষন ঔষধ নির্বাচনের জন্য গুরুত্বপূর্ণ নয়। লক্ষনসমষ্টি হলো ঔষধ নির্বাচনের একমাত্র পথ প্রদর্শক। লক্ষনসমষ্টি রোগের প্রতিচ্ছবি। আবার লক্ষনসমষ্টি ঔষধেরও প্রতিচ্ছবি।
লক্ষনসমষ্টি নির্ধারণ করতে হলে আমাদের সঠিক পরিকল্পনামতো অগ্রসর হতে হবে। হ্যানিম্যান বলেন, সংগৃহীত লক্ষনসমূহ থেকে আমাদের সেইসব লক্ষনের প্রতি অধিক গুরুত্ব আরোপ করতে হবে যেগুলো অদ্ভুত, অসাধারণ, বিরল ও বিচিত্র ধরনের। তাছাড়া, অচির রোগের ক্ষেত্রে রোগ উৎপত্তির উদ্দীপক কারন, পরিপোষক কারন এবং চিররোগের ক্ষেত্রে রোগের মূল কারন জানতে হবে।
আরও পড়ুন : রোগের কারণ নির্ণয়ের গুরুত্ব
রোগীর এই পরিচায়ক লক্ষনসমূহকে পরষ্পর সম্পর্কযুক্ত করে এমন এক চিত্র প্রস্তুত করতে হবে যার প্রতিরূপ মেটেরিয়া মেডিকায় পাওয়া যায়। তাহলে সেই রোগে সেই ঔষধই সর্বাপেক্ষা উপযুক্ত আরোগ্যদায়ক ঔষধ হবে।
0 Comments
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন