রোগের নামের চেয়ে
লক্ষন বেশি গুরুত্বপূর্ণ
রোগী একজন ধোপানী
বয়স ৪০ বছর
রোগীর লক্ষন .....
১! যেকোন নড়াচড়ায় বিশেষ করে পা ফেলার সময়, ভুল পা ফেললে মারাত্মক যন্ত্রনা হয়। পাকস্থলীর উপর দিকে ধাক্কা মতো লাগে। আর দুঃসহ এই ধাক্কাটা আসে বাঁদিক থেকে।
২! যখন শুয়ে থাকে, বেশ ভালোই থাকে। তার কোথাও কোন যন্ত্রনা থাকে না। কোন পাশেও না, পাকস্থলীর উপর দিকেও না।
৩! রাত ৩ টার পর সে আর ঘুমাতে পারে না।
৪! খাওয়া দাওয়া করতে তার ভালোই লাগে, কিন্তু একটু খাওয়ার পরই অসুস্থ বোধ করে।
আরও পড়ুন : রোগী পর্যবেক্ষনের গুরুত্ব
৫! তারপর তার মুখে জল জমতে থাকে এবং ঝরঝর করে লালা ঝরতে থাকে।
৬! প্রতিবার খাওয়ার পর ফাঁকা ঢেকুর উঠতে থাকে।
৭! সে বেশ আবেগপ্রবণ, অল্পেই রেগে যায়।
৮! খুব যন্ত্রনার সময় তার সারা শরীর ঘামে ভিজে যায়।
৯! তার ঋতুস্রাব বেশ নিয়মিত।
১০! অন্যন্য দিক বিবেচনায় তার স্বাস্থ্য বেশ ভালোই।
এবার বলেন, তার রোগের কী নাম দিবেন !!!
রোগের নাম দিয়ে কি তার চিকিৎসা হবে ?
তার তো প্রকৃত চিকিৎসা হবে লক্ষন অনুসারে। লক্ষনসমষ্টি অনুসারে সবচেয়ে সদৃশ ঔষধ প্রয়োগ করলেই তিনি সুস্থ হয়ে উঠবেন।
আরও পড়ুন : কেন রোগের নয়, রোগীর চিকিৎসা
ডা. হ্যানিম্যান Bryonia নামক ঔষধটি প্রুভিংয়ের সময় সুস্থ শরীরে এইসব লক্ষন সৃষ্টি হয়েছিল। তিনি মেটেরিয়া মেডিকায় ঔষধটির সব লক্ষন লিপিবদ্ধ করেছিলেন । তাই Bryonia এই রোগীর জন্য সবচেয়ে সদৃশ ঔষধ।
লক্ষন কি
বাস্তবেও তাই হয়েছে। হ্যানিম্যান এই রোগীকে Bryonia প্রয়োগ করেছিলেন। অল্প সময়েই রোগী সম্পূর্ণ সুস্থ হয়েছিল।
0 Comments
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন