প্রযুক্তির অপব্যবহার
স্মার্টফোন আর উচ্চগতির ইন্টারনেট আজ প্রতিটি যুবকের হাতে হাতে। যুবকদের চোখে থাকে রঙিন চশমা। তাই সবকিছু তারা রঙিন দেখে। বাস্তবতা সম্পর্কে তারা খুব কমই চিন্তা করে। কাজের পরিনতি নিয়ে তাদের কোন মাথাব্যাথা নেই। এখন সুযোগ পাইছি, মজা করে নেই।
যৌবনের হরমোনের প্রভাবে স্বাভাবিকভাবেই ছেলেরা মেয়েদের প্রতি আকর্ষণ অনুভব করে। মেয়েদেরকে দেখতে চায়। তাদেরকে কাছে পেতে চায়। উত্তেজিত যৌন চাহিদা মেটাতে চায়। নানা রকম অশ্লীল অডিও ভিডিও দেখে তারা মজা পায়। সুযোগ পেলে খারাপ মেয়েদের সাথে যৌন কাজে লিপ্ত হয়। আর না হয় হস্তমৈথুন করে করে নিজের বির্য্য ক্ষয় করতে থাকে।
প্রযুক্তির ক্ষতিকর দিক
প্রথমে শারীরিক শক্তির কারণে এর ক্ষতিকর প্রভাব নজরে পড়ে না। কিন্তু আস্তে আস্তে তার যৌন দুর্বলতা দেখা দেয়। শরীরের শক্তি শেষ হয়ে যায়। যৌন অঙ্গ উত্তেজিত হয় না, হলেও সামান্য, ক্ষনস্থায়ী। খারাপ যৌনসঙ্গি থেকে সিফিলিস গনোরিয়ার মতো মারাত্মক যৌন রোগে আক্রান্ত হয়ে যায়।
Negative side of internet
এরপর সুস্থতার আশায় এদিক-সেদিক দৌড়াইতে থাকে। সুযোগসন্ধানীরা এই সময় তাকে নানা রকম উত্তেজক ওষুধ দিয়ে তার মন চাঙ্গা রাখে। আসলে এইসব সাময়িক ক্রিয়াশীল ঔষধ খেয়ে সে তার যৌন শক্তিকে আরো বেশি ক্ষতিগ্রস্ত করে। এইরকম শতশত নয় বরং হাজার হাজার যুবক নিজেদের জীবনকে ধ্বংস করতেছে।
হোমিওপ্যাথিক চেম্বার গুলোতে এই জাতীয় সমস্যা নিয়ে প্রচুর রোগী আসে। হোমিওপ্যাথিক গ্রুপগুলোতেও প্রতিদিনই দেখা যায়, এই সমস্যা নিয়ে প্রশ্ন আর প্রশ্ন।
একজন ডাক্তার সাহেব সেদিন বললেন, তিনি এলাকার যুবকদেরকে হস্তমৈথুন বন্ধের জন্য ঔষধ দিয়েছিলেন। সঠিক ঔষধ হওয়া সত্বেও তারা উপকার পায় নাই। দুই চার দিন বা সর্বোচ্চ এক সপ্তাহ পর তারা আবার হস্তমৈথুনে লিপ্ত হয়। এর কারণ হলো, অশ্লীলতার অফুরন্ত সুযোগ। মোবাইল ইন্টারনেটতো হাতেই আছে। সুযোগ পেলেই খারাপ ছবি দেখে। তাই নিজেদেরকে আর ধরে রাখতে পারে না।
negative side of mobile phone
যৌন অঙ্গের উপর অত্যাচার করতে করতে অঙ্গ এমন দূর্বল হয় যে, এখন সামান্য উত্তেজনাতেই বীর্যপাত হয়ে যায়। অনেক রোগী এমনও বলে যে, এখন উত্তেজনা ছাড়াই যখন তখন বীর্য বের হয়ে যায়।
আরও পড়ুন : যৌন স্বাস্থ্য নষ্টের পরিনতি
লক্ষ টাকা দামের একটা মোবাইল ফোনও নিয়ম মতো চালাইতে হয়। উল্টা পাল্টা চালাইলে হ্যাং হয় বা নষ্ট হয়ে যায়। মহান আল্লাহর নিখুঁত সৃষ্টি আমাদের শরীর। তাই এত অত্যাচার সহ্য করেও কাজ করে যাচ্ছে। কিন্তু কত সহ্য করবে বলেন !!!
নিজেই নিজেকে ধ্বংস করলে, কে তাকে রক্ষা করতে পারে। এইজন্য বাঁচতে চাইলে সব রকমের অশ্লীলতা থেকে দূরে থাকতে হবে। আর সঠিক চিকিৎসা পেতে একজন অভিজ্ঞ হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসকের পরামর্শ গ্রহণ করুন, কোন কিছু গোপন না করে তাকে সব খুলে বলুন। তাহলেই ইনশাআল্লাহ উপকার হবে।
0 Comments
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন