হোমিওপ্যাথি কি আসলেই কাজ করে
মেয়ে রোগী
ষষ্ঠ শ্রেণীর ছাত্রী
হাতের কব্জিতে টিউমার
বিভিন্ন লক্ষণ জানার চেষ্টা করলাম
রোগী যথেষ্ট স্থূল দেহের অধিকারী
শারীরিকভাবে মায়ের থেকেও বড়
তার মধ্যে ক্যালকেরিয়া কার্বের অন্যান্য লক্ষণ গুলো বিদ্যমান পেলাম
ঔষধ দিলাম Calc carb এক হাজার শক্তির। দুই মাসে হাতের কব্জির টিউমার আস্তে আস্তে ছোট হইতেছিল। এরপর ১০ হাজার শক্তির ওষুধ দেওয়ার পর টিউমার সম্পূর্ণ ভালো হয়ে গেল।
এই মেয়ের বড় একটা সমস্যা ছিল যা আমাকে বলে নাই। মেয়ের মা মনে করেছিলেন, এটা গাইনি সমস্যা তাই আমাকে বলার দরকার নেই । মেয়ের মাসে দুইবার মাসিক হইত। একবার ভালো হতে না হতেই আবার শুরু। গাইনী মহিলা ডাক্তার বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে ওষুধ প্রেসক্রাইব করেছিলেন, ট্যাবলেট। দৈনিক তিনবার খেতে হয়। ট্যাবলেট খাওয়া অবস্থায় রক্ত বন্ধ থাকে কিন্তু ট্যাবলেট খাওয়া বন্ধ করলেই আবার রক্ত যাওয়া শুরু হয়। অনেক দিন ধরে এই অবস্থা। বাবা-মা পেরেশান। কী করা যায়। মেয়ের এই অশান্তির কারণে বাবা-মা সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন তাকে ঢাকায় নিয়ে যাবেন। প্রয়োজনীয় সব ধরনের হরমোন টেস্ট করে তার চিকিৎসা করবেন।
এরপর মেয়ের মা যখন দেখলেন হোমিওপ্যাথিক ওষুধ খেয়ে অল্প সময়ে হাতের টিউমারটা ভালো হয়ে গেছে তখন হোমিওপ্যাথির প্রতি তাদের আস্থা বিশ্বাস তৈরি হলো। তিনি আমার কাছে আবার আসলেন মেয়ের এই বিষয়টাকে নিয়ে পরামর্শ করার জন্য। আমি তাকে আশ্বস্ত করলাম, পেরেশান হবেন না। ইনশাআল্লাহ হোমিওপ্যাথিক ওষুধেই সে সম্পূর্ণ সুস্থ হবে।
Homeopathy works or not
বললাম তাকে যে ওষুধ দিয়েছি, সেই ওষুধই এখন চলতে থাকবে, অন্য কোন ওষুধ লাগবে না। আপনি এলোপ্যাথিক ট্যাবলেট বন্ধ করে দেন। ট্যাবলেট বন্ধ করলে যদি আবার রক্ত যাওয়া শুরু হয় চিন্তার কোন কারণ নেই, সেটা বন্ধ হয়ে যাবে। বন্ধ না হলেও তার জন্য ব্যবস্থা আছে, যোগাযোগ করবেন।
যেহেতু এই রোগীর জন্য সবচেয়ে সদৃশ্য হোমিওপ্যাথিক ওষুধ হলো ক্যালকেরিয়া, তাই এই ওষুধ টাই তাকে সার্বিকভাবে সুস্থ করে তুলবে। রোগীর মাকে পরামর্শ দিয়ে পাঠিয়ে দিলাম।
পরামর্শ অনুযায়ী তিনি ট্যাবলেট বন্ধ করে দিলেন ট্যাবলেট বন্ধ করার পর আবার রক্ত যাওয়া শুরু হলো। আলহামদুলিল্লাহ, অন্য কোন ওষুধ ছাড়াই চারদিন পরে তার রক্ত স্রাব বন্ধ হয়ে গেল। এখন পর্যন্ত অন্য কোন ওষুধের প্রয়োজন হয় নাই।
যেখানে প্রতিবেলা ট্যাবলেট খেতে হতো, আর ট্যাবলেট বন্ধ করলেই রক্ত স্রাব শুরু হয়ে যেত, সেখানে তার এখন স্বাভাবিক মাসিক চক্র শুরু হয়েছে।
একটি মাত্র হোমিওপ্যাথিক ওষুধে তার টিউমার ভালো হয়েছে। তার ওজন আস্তে আস্তে কমতেছে এবং তার স্বাভাবিক মাসিক চক্র শুরু হয়ে সে এখন সম্পূর্ণ সুস্থ।
আমি দুঃখিত, এরপরও পৃথিবীর কিছু মানুষ বলবে, হোমিওপ্যাথিতে কাজ হয় না।
0 Comments
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন