চিকিৎসায় সফলতার উপায়
হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসায় গভীর জ্ঞান ও বিচক্ষণতা প্রয়োজন।
অনেক সময় দেখা যায়, একজন রোগী অনেক বছর রোগাক্রান্ত, কত এলোপ্যাথিক চিকিৎসকের পরামর্শে পরীক্ষা নিরীক্ষা করে কত রকমের ঔষধ সেবন করলেন, কিন্তু কোন ভাবেই সুস্থ হতে পারলেন না। কয়েকজন হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসকের কাছ থেকেও চিকিৎসা গ্রহণ করলেন। তাতেও কিছুই হলোনা।
কিন্তু শেষ পর্যন্ত এই রোগী যখন একজন বিজ্ঞ, বিচক্ষণ হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসকের হাতে পরলেন, তার যথাযথ পদক্ষেপে এই রোগী অল্প কয়েকদিনের মধ্যে ঠিকই সুস্থ হয়ে উঠলেন।
আসলে অল্প শিক্ষা আর হোমিওপ্যাথির সামান্য জ্ঞান দিয়ে রোগকে পরাস্ত করা যায় না। হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসায় পারদর্শী হওয়ার জন্য প্রয়োজন উচ্চ শিক্ষা, গভীর জ্ঞান ও তীক্ষ্ণ বুদ্ধি। প্রচুর পড়াশোনা করা প্রয়োজন।
How to be a successful doctor
অনেক দিন আগের কথা। ঢাকায় এক হোমিওপ্যাথিক লাইব্রেরীতে গিয়েছিলাম বই কিনতে। পাশে দাঁড়িয়ে ছিলেন একজন হোমিওপ্যাথিক ডাক্তার। আমি যখন বোরিকের মেটেরিয়া মেডিকা, এম ভট্টাচার্যৈর তুলনামূলক মেটেরিয়া মেডিকা এবং এই জাতীয় আরো কিছু বই চাইলাম, তখন ডাক্তার সাহেব বললেন, আরে ভাই এতো বই দিয়ে কী করবেন। এত বই লাগে না, দুইজন লেখকের দুটি অব্যর্থ হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা বই হলেই যথেষ্ট। মনে মনে ভাবলাম, এই যদি হয় হোমিওপ্যাথি সম্পর্কে ধারণা, জটিল চিররোগের চিকিৎসা কিভাবে সম্ভব!
successful doctor
১. রোগের প্রকৃত কারণ উদঘাটন করা,
২. রোগীর ধাতু প্রকৃতি অনুধাবন করা
৩. লক্ষনসমষ্টি নির্ধারণ করা
৪. ঔষধ নির্বাচন করা,
৫. ঔষধের শক্তি নির্ধারণ করা,
৬. ঔষধের প্রয়োগের কৌশল ঠিক করা।
৭. যেসব বিষয় সুস্থ হওয়ার পথে বাধা সৃষ্টি করে, সে সম্পর্কে রোগীকে পরামর্শ দেওয়া।
এই সবগুলো বিষয় যখন কোন চিকিৎসক দক্ষতার সাথে সঠিকভাবে সম্পন্ন করতে পারেন, তখনই চমৎকার ফল পাওয়া যায়। নানারকম জটিল রোগে আক্রান্ত মানুষ স্থায়ীভাবে সুস্থতা লাভ করে।
তাই আসুন আমরা হোমিওপ্যাথির সঠিক জ্ঞান অর্জন করে এবং তা যথাযথভাবে প্রয়োগ করে মানব জাতির অশেষ কল্যান সাধন করি।
0 Comments
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন