অনেক রোগের এক ঔষধ
মহিলা রোগী। বয়স ২৬ বছর।
ব্রন সারা মুখে, কপালে বেশি। চুলকায়।
চোখ চুলকায়, লাল হয়ে যায়।
পেটে প্রচুর গ্যাস হয়, ভুটভাট পুটপাট করে।
গ্যাস বেড়ে যায়, মনে হয় গলায় যেন কি আটকে আছে।
মুখমণ্ডলে ও গলায় মনে হয় পোকা হাঁটে।
পায়খানা কষা থাকে, ২/৩ দিনে একবার হয়।
রাতে রাতে মনে হয় জ্বর আসে, ঠোঁটে জ্বরঠোসা আছে।
এলার্জি আছে। ইলিশ মাছ, গরুর গোশত খেলে এলার্জি বেড়ে যায়।
আরও পড়ুন : যোগ্য চিকিৎসকের প্রয়োজনীয়তা
এইসব সমস্যার জন্য কয়েকজন বিশেষজ্ঞ ডাক্তার দেখিয়েছেন। বহুদিন যাবত তাদের দেওয়া এন্টিবায়োটিক ও স্টেরয়েডজাতীয় ঔষধ খেয়েছেন। রোগীর কাছেই মনে হইতেছে, এগুলো অনেক বেশি খাওয়া হয়ে গেছে। কিন্তু উপকার কী হয়েছে ? সমস্যাগুলো সারে নাই। বরং তার চেহারা কালো হয়ে গেছে এবং শরীরের বিভিন্ন জায়গায় কালো কালো দাগ দেখা দিয়েছে।
আমি জিজ্ঞেস করে জানলাম .....
তার গরম সহ্য হয় না, অর্থাৎ তিনি গরমকাতর।
শরীর সবসময় গরম থাকে।
মাথার তালু গরম থাকে।
মুখমণ্ডল গরম হয়ে যায়।
গরুর দুধ খেতে পারেন না, খেলে পেটের সমস্যা বেড়ে যায়।
ঘুম আসতে চায় না, ঘুম দেরিতে আসে এবং পাতলা ঘুম,
তার চর্মরোগে অনেক মলম ব্যবহার করা হয়েছে।
Single medicine in homeopathy
যদিও তার অনেক রোগ, অনেক লক্ষন কিন্তু সার্বদৈহিক লক্ষন বিবেচনায় তিনি সালফারের রোগী। এখন এই একটিমাত্র ঔষধই তার জন্য যথেষ্ট হবে। আমি তাকে একহাজার শক্তির সালফার দিয়েছিলাম।
আরও পড়ুন : চিকিৎসায় সফলতার উপায়
গতকাল এসে তিনি জানালেন, তার বেশ উপকার হয়েছে। ব্রন কমেছে, নতুন করে আর উঠতেছে না। পেটের সমস্যা সেরে গেছে। গ্যাস হয় না। স্বাভাবিক পায়খানা হয়। ভালো ঘুম হয়। এখন আর এলার্জির সমস্যা নেই। পোকা হাঁটার অনুভূতি এখন আর নেই। আরও যে সমস্যা আছে সেগুলোও আগের তুলনায় কম। ইনশাআল্লাহ সেগুলোও সেরে যাবে।
সবচেয়ে মজার বিষয় হলো, রোগীর মনে হইতেছে, নানারকম ঔষধ খেয়ে তিনি কালো হয়ে গিয়েছিলেন। মাত্র একবার হোমিওপ্যাথিক ঔষধ খেয়েই তার আগের ত্বকের রঙ ফিরে পাইতেছেন। হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসায় তিনি মুগ্ধ, যথেষ্ট আনন্দিত।
0 Comments
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন