ঔষধ নির্বাচনে রেপার্টরির ব্যবহার
হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা বিজ্ঞান হলো জ্ঞানের সাগর। এতে রয়েছে হাজার হাজার ওষুধ। আবার প্রতিটা ঔষধের রয়েছে হাজার হাজার লক্ষণ। এতকিছু সম্পূর্ণ মুখস্থ করে নিজের মধ্যে জমা করে রাখা কোন মানুষের পক্ষেই সম্ভব নয়। আর তাই মহামতি হ্যানিম্যান প্রথম রেপার্টরীর প্রয়োজনীয়তা অনুধাবন করেছিলেন।
Repertory in Homeopathy
কোন একটি রোগ লক্ষণ কি কি ওষুধের মধ্যে আছে তা তালিকাভুক্ত করা হয়েছে রেপার্টরীর মধ্যে। দীর্ঘদিন রোগে ভুগে নানারকম ওষুধ সেবন করে কোন কোন মানুষের রোগ এত জটিল আকার ধারণ করে যে, সহজেই তার জন্য কোন ঔষধ নির্বাচন করা যায় না। আর তখনই বিজ্ঞ চিকিৎসকগণ রেপার্টরীর সহায়তা নিয়ে সদৃশ ঔষধটি নির্বাচনের চেষ্টা করেন।
আরও পড়ুন : চিকিৎসায় প্রযুক্তির ব্যবহার
রেপার্টরী দেখে রোগীর প্রতিটি রোগের লক্ষণ অনুযায়ী ওষুধের তালিকা বের করে সেগুলো থেকে যোগ বিয়োগ করে ওষুধ নির্বাচন করা যায়। এরজন্য ধৈর্য সহকারে প্রচুর সময় দিতে হয়। যুগযুগ ধরে হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসকগন এইভাবেই তাদের মূল্যবান সময় ব্যয় করে আসছেন। বর্তমান কালের হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা সফটওয়্যারগুলো রেপার্টরাইজেশনের এই সময়সাপেক্ষ জটিল কাজকে অনেক সহজ করেছে।
Hahnemann repertory
এখন দক্ষ, যোগ্য, বিজ্ঞ চিকিৎসকগন রোগীলিপি নিয়ে সফটওয়্যারের সাহায্যে রেপার্টরাইজেশন করে ঔষধ নির্বাচন করেন। চিকিৎসক রুব্রিক নির্বাচন করে দিলে সফটওয়্যার মুহূর্তের মধ্যেই সম্ভাব্য ওষুধের তালিকা প্রস্তুত করে মনিটরে প্রদর্শন করে। এরপর চিকিৎসক তার যোগ্যতা অভিজ্ঞতা অনুসারে বিভিন্ন বিষয় বিবেচনা করে সম্ভাব্য ওষুধের মধ্য থেকে রোগীর জন্য সবচেয়ে উপযোগী সদৃশ ঔষধটি নির্বাচন করেন।
আরও পড়ুন : যোগ্য চিকিৎসকের প্রয়োজনীয়তা
যোগ্য বিজ্ঞ হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসকগন সবসময়ই রেপার্টরাইজেশন করে আসছেন। আগে করেছেন হাতে কলমে আর এখন করছেন সফটওয়্যার এর সাহায্যে। তথ্যপ্রযুক্তির উন্নয়নের এই যুগে আমরাও রোগীর জন্য উপযুক্ত ঔষধ নির্বাচনে প্রযুক্তির সহায়তা নিতে পারি। এর মাধ্যমে নিজের সম্পূর্ণ যোগ্যতাকে কাজে লাগিয়ে রোগাক্রান্ত অসুস্থ মানুষদেরকে আরোগ্য লাভে সহায়তা করতে পারি।
0 Comments
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন