হোমিওপ্যাথি এক বিস্ময়কর চিকিৎসা পদ্ধতি
এক যুবক অনেকদিন যাবত রোগে ভুগতেছিল। একজন বিজ্ঞ হোমিওপ্যাথিক ডাক্তার সাহেব অনেক ওষুধ দিলেন কিন্তু রোগ ভালো হইতেছিল না। তিনি যখন দেখলেন রোগীর দাদার সারা গায়ের মধ্যে অসংখ্য টিউমার।
আশ্চর্য, এইবার ওষুধ দেওয়ার অল্পদিনের মধ্যে রোগী সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে গেল। দাদাকে দেখে তিনি নাতিকে ওষুধ দিলেন !!!
এক লোক চোখে দেখতেছিল না প্রায় ২৫ বছর ধরে। নানা রকমের চিকিৎসা হয়েছে, যা দরকার সব হয়েছে। হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসক রোগীর জীবনের ইতিহাস ঘেঁটে দেখলেন,
রোগী ২৫ বছর পূর্বে এক পাহাড়ে উঠার সময় পড়ে গিয়ে মাথায় আঘাত পেয়েছিল। এবার তিনি ওষুধ দিলেন, রোগী তার হারানো দৃষ্টিশক্তি আবার ফিরে পেল।
আরও পড়ুন : আরোগ্যের আসল রহস্য
শিশু বাচ্চা, বয়স মাত্র এক মাস। পাতলা পায়খানা হইতেছে। হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসক বাচ্চাকে ওষুধ না দিয়ে, ওষুধ তার মাকে খেতে দিলেন। অবাক কান্ড, এতেই বাচ্চা সুস্থ হয়ে গেল।
হোমিওপ্যাথির আশ্চর্য সব কান্ড কারখানা। আসলে হোমিওপ্যাথি তো এমনই ! ডাক্তারের মাথায়ই ঢুকে না, রোগীর মাথায় কি ঢুকবে !! বাস্তবতা হলো যে ডাক্তারের মাথায় ঢুকেছে তিনি হয়েছেন সফল, আর যে রোগীদের মাথায় ঢুকেছে তারা হয়েছেন উপকৃত !!!
হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসকের কাছে কোন রোগী আসলে, তিনি হাজারটা প্রশ্ন করেন। এটা কিনা, সেটা কিনা ? ঠান্ডা ভালো লাগে, না গরম ভালো লাগে ? লবণ কম খান, না বেশি খান ? পূর্বপুরুষদের মধ্যে বড় কোন রোগ ছিল কিনা ? জীবনে কখনো বড় ধরনের আঘাত পেয়েছেন কিনা? ইত্যাদি, ইত্যাদি।
আরও পড়ুন : হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা পদ্ধতির সৌন্দর্য
কেন করেন ?
চিকিৎসক এত কষ্ট তো এজন্যই করেন, রোগী যেন স্থায়ীভাবে ভালো হয়ে যায়, সুস্থ হয়ে যায় ! তার রোগ যেন একই নামে বা ভিন্ন নামে বারবার ফিরে না আসে !! তার যেন সারাজীবন ওষুধ খেতে না হয় !!
0 Comments
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন