রোগের কারণ কেন গুরুত্বপূর্ণ ?
এক ভদ্রলোক কয়েক বছর ধরে মাথাব্যথায় কষ্ট পাচ্ছিলেন।
১! প্রতিদিন বিকাল চারটায় মাথাব্যথা শুরু হতো।
২! ডান দিকটায় বেশি।
৩! ডান কপালে ভ্রুর মাঝামাঝি জায়গায় একটা টিউমার আছে। আগে এটা খুব ছোট ছিল, এখন বেশ বড় হয়েছে। সেখান থেকেই ব্যথা শুরু হয়।
৪! দৃষ্টি ঝাপসা, চোখ লাল ও চোখ দিয়ে পানি পড়ে।
৫! কুসুম গরম পানি পান করলে সামান্য উপসম হয়।
৬! রাত আটটা নাগাদ ব্যথা ধীরেধীরে কমে আসে।
হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসক মাত্রই বুঝতে পারতেছেন, রোগের লক্ষণগুলো লাইকোপোডিয়াম নামক ঔষধটিকে নির্দেশ করছে। তাই যথাযথ নিয়মে লাইকোপোডিয়াম বিভিন্ন শক্তিতে প্রয়োগ করা হলো। কিন্তু স্থায়ী কোন ফল পাওয়া গেল না।
এর কারণ কী ?
হ্যানিম্যানের নির্দেশ যথাযথ অনুসরণ না করার কারনেই এই ব্যর্থতা।
হ্যানিম্যান বলেছেন, রোগ উৎপত্তির কারণ অনুসন্ধান কর ও সর্বাগ্রে তা দূর কর।
আরও পড়ুন : ঔষধ নির্বাচনের কৌশল
পরে জিজ্ঞেস করে জানা গেল যে, প্রায় পাঁচ বছর আগে ফুটবল খেলার সময় গোলপোস্টের সঙ্গে তার কপালে প্রচন্ড ধাক্কা লাগে। তিনি অজ্ঞান হয়ে পড়েন। এর কিছুদিন পর থেকেই এই টিউমার ও মাথাব্যথার সূচনা। বিকালের দিকে অফিসের কাজের চাপে ব্যথা আরও বেশি হয়। কাজের চাপ যখন কম থাকে, তখন ব্যথাও কম থাকে।
আর্নিকা ১০ হাজার এক মাত্রাই তার মাথাব্যথা ও টিউমারের পরিসমাপ্তি ঘটায়।
0 Comments
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন