বৈজ্ঞানিক চিকিৎসার নামে
আসলে কী হচ্ছে
মানবদেহের বৃহত্তম গ্রন্থি যকৃতে সারাক্ষণ পিত্তরস উৎপন্ন হয়। এই রস পিত্তথলিতে জমা থাকে। খাবার খাওয়ার পর পাকস্থলীতে আংশিক পরিপাকের পর খাবার যায় ক্ষুদ্রান্ত্রে। এই সময় পিত্তরস পিত্তনালির মাধ্যমে ক্ষুদ্রান্ত্রে গিয়ে সেখানে খাবার পরিপাকে অংশ নেয়।
Scientific treatment
কারো যদি পিত্তথলি কেটে ফেলে দেওয়া হয়, তাহলে তার পিত্ত আর জমা থাকতে পারে না, সারাক্ষণ ক্ষুদ্রান্ত্রে যাইতে থাকে। অথচ সারাক্ষণ আমাদের ক্ষুদ্রান্ত্রে খাবার থাকে না। আবার খাবার খাওয়ার পর অল্প পরিমাণে নির্গত পিত্তরস খাবার পরিপাকের জন্য পর্যাপ্ত হয় না। তাই পিত্তথলি ফেলে দেওয়ার পর একজন মানুষ স্থায়ীভাবে অসুস্থ হয়ে যায়। সে আর কখনোই সুস্থভাবে জীবন যাপন করতে পারে না।
real treatment আরও পড়ুন : রোগের নয়, রোগীর চিকিৎসা
১/ পিত্তথলিতে কখনো ইনফেকশন হয়ে প্রদাহ হতে পারে। অসুস্থ মানুষের
পিত্তথলিতে পাথর সৃষ্টি হতে পারে। প্রকৃত হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসায় এই সব
সমস্যারই সমাধান আছে।
কিন্তু অনেকে বলেন, এটাতো অবৈজ্ঞানিক।
তাহলে বৈজ্ঞানিক কোনটা ???
উন্নত চিকিৎসার নামে পিত্তথলি কেটে ফেলে দেওয়াই কি বৈজ্ঞানিক ?
২/ একইভাবে, কিডনীতে পাথর হলে হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসার মাধ্যমে
সুস্থ্য করে তোলা এবং পাথর হওয়া স্থায়ীভাবে বন্ধ করে দেয়া নাকি
অবৈজ্ঞানিক। আর কিডনী কেটে পাথর বের করা বৈজ্ঞানিক !!! অথচ এভাবে বের করলে পাথর
আবারো হয়।
৩/ আঁচিল, টিউমার, নাকের পলিপের রোগীকে হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসায়
সুস্থ্য করে তোলা অবৈজ্ঞানিক। আর এগুলো কেটে শরীর থেকে ফেলে দেওয়া
নাকি বৈজ্ঞানিক !!! অথচ কাটার পর এগুলো আবার দেখা দেয়।
Deception in healthcare আরও পড়ুন : রোগীর স্থায়ী চিকিৎসা
৪/ হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসায় অসুস্থ টনসিল সুস্থ্য করে তোলা অবৈজ্ঞানিক। আর টনসিল কেটে ফেলে দেওয়া নাকি বৈজ্ঞানিক !!!
৫/ হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসায় নরমাল ডেলিভারি হওয়া অবৈজ্ঞানিক। আর পেট কেটে বাচ্চা বের করা নাকি বৈজ্ঞানিক !!!
হায় আফসোস !!!
আমি সত্যিই দু:খিত !!
এমন বিজ্ঞান আমি চাই না !
চিকিৎসায় প্রতারনা
0 Comments
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন