রোগ কি ?
দেহ ও মনের অস্বাভাবিক অবস্থাই রোগ
রোগের লক্ষণসমূহ :
১! একজন কথায় কথায় কান্না করে। বিশেষ কোনো কারণ ছাড়াই কান্না করে। আবার আরেকজন প্রচন্ড আঘাত পেলেও কান্না করে না। এখানে কে সুস্থ ? প্রকৃতপক্ষে দুইজনের কেউই সুস্থ না বরং দুজনেই অসুস্থ।
২! যে বিনা কারণে হাসে সে কি সুস্থ ? হাসতে হাসতে মাটিতে গড়িয়ে পড়ে। অথচ হাসির মতো এমন বিশেষ কিছু হয়নি। অন্যদিকে আরেকজন প্রচন্ড হাসির কথায়ও মুখ গোমরা করে থাকে। সে কি সুস্থ? না এরা কেউই সুস্থ না।
আরও পড়ুন : লাইফস্টাইল রোগের সেরা চিকিৎসা
Disease definition
৩! একজন প্রচন্ড শীতের দিনে পুকুরের ঠান্ডা পানি দিয়ে তিনবার গোসল করে । আবার আরেকজন কাঠফাটা রোদের মধ্যে রাস্তায় হাটতেছে ভারী জ্যাকেট গায়ে দিয়ে। বলেন, তারা কি সুস্থ ! মোটেই না। বরং তারা দুইজনেই অসুস্থ।
৪! বিছানায় শোয়ার পরে দুই ঘন্টা চলে গেছে কিন্তু ঘুম আসেনা। অন্যদিকে আরেকজন চেয়ারে বসেই ঘুমিয়ে গেছে। 3 ঘণ্টা পর জেগে অবাক হয়ে বলতেছে, আমি কি এতক্ষণ ঘুমিয়েছিলাম! এগুলো কি সুস্থতার লক্ষণ!
রোগ কাকে বলে
স্বাভাবিক অবস্থার এই ব্যতিক্রমগুলোই অসুস্থতা বা রোগ। এইসব অসুস্থতার কি নাম দিবেন ! এইজন্যই হোমিওপ্যাথিতে রোগের নাম নয়, বরং রোগীর লক্ষন অনুযায়ী চিকিৎসা করা হয়।
আরও পড়ুন : আরোগ্যের প্রাকৃতিক নীতি
একজন যোগ্য বিজ্ঞ হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসক রোগীর মানসিক, সার্বদৈহিক ও আঙ্গিক লক্ষণ এর সমন্বয়ে গঠিত লক্ষণ সমষ্টির ভিত্তিতে রোগীর জন্য একটি মাত্র সদৃশ ওষুধ নির্বাচন করেন। যথাযথ ভাবে নির্বাচিত একটি মাত্র সদৃশ ওষুধ সূক্ষ্ম মাত্রায় প্রয়োগে রোগীর দেহ ও মনের অস্বাভাবিক লক্ষনগুলো দূর হয় । রোগী স্থায়ীভাবে সুস্থতা লাভ করে।
0 Comments
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন