হোমিওপ্যাথি ব্যর্থ হওয়ার কারন সমূহ
হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসায় হাজারো মানুষের উপকার হয়েছে, হচ্ছে। কিন্তু এর অর্থ এই না যে, কোন জায়গা থেকে হোমিওপ্যাথির নামে ঔষধ খেলেই রোগী আরোগ্য হবে। এমন বহু রোগীর ঘটনা আছে যেখানে কোন উপকারই হয় নাই।
আমরা আজকে বিস্তারিত আলোচনা করবো হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসায় উপকার না হওয়ার কারন নিয়ে। বিভিন্ন মানুষ বিভিন্ন কারণে উপকার পেতে ব্যর্থ হয়।
১/ চিকিৎসা পদ্ধতিগত কারন :
হোমিওপ্যাথি বর্তমানে প্রচলিত অন্যান্য চিকিৎসা পদ্ধতি থেকে সম্পূর্ণ ভিন্ন। তাই এই পদ্ধতিতে উপকার পাওয়ার জন্য পর্যাপ্ত জ্ঞান অর্জন করা দরকার। এই চিকিৎসার মূল নীতিগুলো ভালোভাবে আয়ত্ত করা দরকার। হোমিওপ্যাথিকে অনন্যা পদ্ধতির মতো প্রয়োগ করে উপকার পাওয়া যাবে না।
২/ গভীর জ্ঞানের অভাব :
হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা পদ্ধতি সঠিকভাবে প্রয়োগের জন্য গভীর জ্ঞানের অধিকারী চিন্তাশীল মানুষ প্রয়োজন। রোগীর সঠিক চিকিৎসার জন্য মানব দেহের এনাটমি ও ফিজিওলজির পর্যাপ্ত জ্ঞান থাকা দরকার। দরকার রোগ সম্পর্কে জ্ঞান এবং ঔষধ সম্পর্কে জ্ঞান।
অল্প জ্ঞান দিয়ে হোমিওপ্যাথি সঠিকভাবে বুঝা যায় না। তাই রোগীর জন্য সঠিক ঔষধ নির্বাচন করা যায় না এবং তা সঠিকভাবে প্রয়োগও করা যায় না। তাই রোগীর কোন উপকার হয় না।
৩/ মায়াজমিক বাধা :
ঔষধ নির্বাচন সঠিক হলেও অনেক সময় রোগীর রোগ সারে না। মানুষের রোগ সৃষ্টির আদি কারন মায়াজম সেখানে বাধা সৃষ্টি করে। একজন হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসক যথাযথ ঔষধ প্রয়োগের মাধ্যমে সেই বাধা দূর দূর করতে না পারলে চিকিৎসা ব্যর্থ হয়ে যায়।
৪/ অবমূল্যায়ন :
অনেক মানুষ হোমিওপ্যাথিকে মোটেই মূল্যায়ন করতে চায় না। তারা হোমিওপ্যাথিক ঔষধকে পানি পড়া মনে করে। হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসককে যথেষ্ট সম্মান দিতে চায় না। তাই তার সময় আর মেধার মূল্যায়ন করে না। অন্য জায়গায় চিকিৎসা করতে গিয়ে হাজার হাজার টাকা খরচ করে। অথচ হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসকের কাছে এসে ফ্রি চিকিৎসা চায়। ফেসবুকে হোমিওপ্যাথিক গ্রুপে গ্রুপে জানতে চায় কি ঔষধ খাবে। এমন লোকের চিকিৎসা ব্যর্থ হলে তার দায় কার ?
৫/ ঔষধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া :
আধুনিকতার নামে বহু মানুষ এখন মারাত্মক বেপরোয়া জীবন-যাপন করে। যা ইচ্ছা তাই খায়, যখন খুশি তখনই খায়। জীবনযাপনে কোন শৃঙ্খলা নেই। খাওয়ার ঠিক নেই, ঘুমের ঠিক নেই। আবার এসব মানুষ যখন অসুস্থ হয়, তখন দোকান থেকে ইচ্ছেমত ওষুধ কিনে খেয়ে ফেলে । অথচ প্রচলিত প্রতিটি ঔষধের আছে মারাত্মক পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া। নানারকম ওষুধের ক্রিয়ায় মানুষের শরীরে রোগ লক্ষণ স্বাভাবিকভাবে প্রকাশ পায় না, রোগ লক্ষণ বিকৃত হয়ে যায়। এই অবস্থায় হোমিওপ্যাথিক ঔষধের ক্রিয়াও যথার্থ হয় না ।
৬/ হোমিওপ্যাথির নামে ভেজাল :
বর্তমানে হোমিওপ্যাথির নামে অনেক উল্টাপাল্টা কাজ হইতেছে। অনেক ডাক্তার একবারে একটিমাত্র শক্তিকৃত হোমিওপ্যাথিক ঔষধ না দিয়ে ৩টি ৪টি এমনকি ৫-৬ টি ঔষধ দিচ্ছে। আবার অনেকে হোমিওপ্যাথিক চেম্বারে ইউনানী ও আয়ুর্বেদিক ওষুধ ফাইল ট্যাবলেট ক্যাপসুল বিক্রি করতেছে। হোমিওপ্যাথিক ওষুধ কোম্পানিগুলো মিক্চার ওষুধ প্যাটেন্ট ফাইল তৈরি করতেছে। হোমিওপ্যাথির নামে বিক্রি হলেও এগুলো প্রকৃত হোমিওপ্যাথি নয়। রোগী এইসব ওষুধ সেবন করে যখন কোন স্থায়ী উপকার পায় না, তখন বলে হোমিওপ্যাথিক ওষুধতো খেয়েছি, কোন উপকার হয় নাই। এইভাবে কিছু মানুষের প্রতারনার কারনে বদনাম হয় হোমিওপ্যাথির।
তাই আসুন, আমরা হোমিওপ্যাথি সম্পর্কে সঠিক জ্ঞান লাভ করি। ভেজালমুক্ত হয়ে প্রকৃত হোমিওপ্যাথির চর্চা করে মানবকল্যাণে ভূমিকা রাখি।
আরও জানার জন্য -
YouTube : Classical Homeopathy
Facebook : ক্লাসিক্যাল হোমিও হল
Dr. Nasir Uddin
01816885341
#classicalhomeopathy
#classicalhomeohall
0 Comments
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন