হোমিও ঔষধ
#classicalhomeohallহোমিও ওষুধ কি দিয়ে তৈরি
বিভিন্ন প্রাকৃতিক উপাদান দিয়ে হোমিওপ্যাথিক ঔষধ তৈরি করা হয়। এরমধ্যে সবচেয়ে বেশি ঔষধ তৈরি করা হয় নানারকম উদ্ভিদ থেকে। এছাড়া বিভিন্ন প্রানী, বিভিন্ন ধাতু, মাটি থেকেও ঔষধ তৈরি করা হয়।
হোমিওপ্যাথিক ঔষধ তৈরির পদ্ধতি
প্রাকৃতিক ভেষজ উপাদানের সাথে নির্দিষ্ট মাত্রায় এলকোহল মিশিয়ে শক্তিকরনের যথাযথ পদ্ধতি অনুসরণ করে হোমিওপ্যাথিক ঔষধ তৈরি করা হয়।
হোমিওপ্যাথি ওষুধের কাজ কি
হোমিও ঔষধ কিভাবে কাজ করে
হোমিওপ্যাথিক ঔষধ স্নায়ুর মাধ্যমে কাজ করে। ঔষধ যাতে বেশিসংখ্যক স্নায়ুকে স্পর্শ করে ভালোভাবে কাজ করতে পারে, এ জন্য ঔষধের ছোট একটি অনুবটিকাকে পানিতে দ্রবীভূত করে প্রয়োগ করতে হয়। জিহ্বা, মুখ ও পাকস্থলির স্নায়ুগুলো সহজেই ঔষধের ক্রিয়া গ্রহণ করতে পারে।
হোমিওপ্যাথি ওষুধ মানুষের জীবনীশক্তিকে শক্তিশালী করে। এরপর সেই জীবনীশক্তিই রোগশক্তিকে পরাজিত করে।
আরও পড়ুন : হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা পদ্ধতি
হোমিও ঔষধ খাওয়ার নিয়ম
হোমিও
ঔষধ খালি পেটে ভালো কাজ করে। তাই ঔষধ খাওয়ার পর এক ঘন্টা খাবার খাওয়া
থেকে বিরত থাকা । প্রয়োজনে খাবার খাওয়ার এক ঘন্টা পর ঔষধ খাওয়া যেতে
পারে। হোমিওপ্যাথি ঔষধ খাওয়ার সবচেয়ে ভালো সময় হলো সকাল বেলা।
হোমিও ঔষধের ডোজ । হোমিওপ্যাথি ওষুধের মাত্রা
হোমিওপ্যাথি ঔষধ কি পরিমান খেতে হবে তা রোগীর বয়স, জীবনীশক্তি , রোগের বয়স , রোগের তীব্রতা ইত্যাদি বিষয়ের উপর নির্ভর করে।
হোমিওপ্যাথি ওষুধ কি কাজে লাগে
সঠিকভাবে নির্বাচিত হোমিওপ্যাথি ওষুধ সঠিক শক্তিতে এবং সঠিক মাত্রায় সেবনে নানারকম জটিল রোগে আক্রান্ত রোগী স্থায়ীভাবে আরোগ্য লাভ করে।
হোমিওপ্যাথি ওষুধ বেশি খেলে কি হয়
যে উপকার করতে পারে অবশ্যই তার ক্ষতি করার ক্ষমতাও আছে। আপনি যদি ভুল ওষুধ ভুল শক্তিতে ভুল মাত্রায় খান তা আপনার ক্ষতি করবে। আর উচ্চ শক্তির ভুল ওষুধের ক্ষতিকর প্রভাব আপনার দেহমনে রয়ে যাবে বহুদিন।
হোমিওপ্যাথি ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া আছে কি
যথাযথ পদ্ধতি অনুসরণ করে সদৃশ ঔষধ নির্বাচন করে সূক্ষ্মমাত্রায় প্রয়োগ করা হলে হোমিওপ্যাথিক ঔষধে কোন পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয় না।
হোমিও ওষুধ
হোমিও ঔষধ কি স্বাস্থের জন্য ক্ষতিকর
না, হোমিওপ্যাথিক ঔষধ ক্ষতিকর নয় বরং অত্যন্ত উপকারী। সঠিকভাবে নির্বাচিত হোমিওপ্যাথিক ঔষধ সেবনে এমন উপকার হয়, যা অনেক সময় মানুষের প্রত্যাশাকেও ছাড়িয়ে যায়।
আরও পড়ুন : হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা বই
হোমিওপ্যাথিক ঔষধ খেলে কি কি খাওয়া যাবে না
হোমিওপ্যাথিক ঔষধ গুলো শক্তিকৃত ঔষধ। তাই যথাযথ নিয়ম মেনে একবারে একটিমাত্র সবচেয়ে উপযুক্ত সদৃশ উচ্চ শক্তির ঔষধ সূক্ষ্ণ মাত্রায় প্রয়োগ করা হলে কোন খাবার তার ক্রিয়া বন্ধ করতে পারে না।
তাই, হোমিওপ্যাথিক ঔষধ খেলে সবার জন্য নির্দিষ্ট কোন নিষেধাজ্ঞা নেই। এই বিষয়ে পরামর্শ হবে আলাদা আলাদা। যে রোগী যে খাবার খেলে সমস্যা হয় বা তার রোগ বেড়ে যায়, তিনি সে খাবার খাবেন না। তিনি সেই খাবার খাওয়া থেকে বিরত থাকবেন।
হোমিওপ্যাথিক খেলে কি এলোপ্যাথিক খাওয়া যায়
জি, খুব বেশি প্রয়োজন হলে খাওয়া যায়। শুধুমাত্র কিছু এলোপ্যাথিক ওষুধ যেমন এন্টিবায়োটিয়োটিক ওষুধগুলো হোমিওপ্যাথিক ওষুধের ক্রিয়ায় কিছুটা বিঘ্ন সৃষ্টি করে।
হোমিওপ্যাথি ওষুধের দাম
বিদেশি হোমিওপ্যাথি ওষুধের দাম বেশি। তুলনামূলক ভাবে দেশি ওষুধের দাম কম। তবে হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসায় খুব কম পরিমাণ ওষুধ প্রয়োজন হয়। তাই ওষুধ খরচ বেশি হয় না।
হোমিও ঔষধের মূল্য তালিকা
হোমিওপ্যাথিক ঔষধগুলো বিভিন্নভাবে তৈরি করা হয় এবং বাজারজাত করা হয়। এর মধ্যে রয়েছে মাদার টিংচার, শততমিক পদ্ধতিতে শক্তিকৃত ঔষধ এবং পঞ্চাশ সহস্রতমিক পদ্ধতিতে শক্তিকৃত ঔষধ। বিভিন্ন দেশের এবং বিভিন্ন কোম্পানির ঔষধের দামে ভিন্নতা রয়েছে।
0 Comments
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন